মুখের দুর্গন্ধ: নিজের নিশ্বাসে বিরক্ত? মুক্তির সহজ উপায় জানুন
কেন মুখে দুর্গন্ধ হয়?
মুখ থেকে আসা দুর্গন্ধ (Halitosis) শুধু বিরক্তিকর নয়, সামাজিকভাবে অস্বস্তিকরও। অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না আমাদের শ্বাসে গন্ধের কারণে অন্যরা দূরত্ব বজায় রাখছে। এটি আবার কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর শারীরিক সমস্যার সংকেত হতে পারে। মুখে দুর্গন্ধের সাধারণ কারণগুলো হলো—
- 
অপরিচ্ছন্ন দাঁত ও মাড়ি – নিয়মিত সঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কার না করলে দাঁতের ফাঁকে খাবারের অবশিষ্টাংশ জমে, যা জীবাণুর বৃদ্ধি ঘটায় এবং দুর্গন্ধ তৈরি করে।
 - 
জিহ্বার উপরে জমে থাকা স্তর – জিভের উপরিভাগে সাদা আস্তরণ বা জীবাণু জমে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
 - 
শুষ্ক মুখ – পর্যাপ্ত লালা না থাকলে মুখ শুকিয়ে যায়, ফলে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
 - 
হজমজনিত সমস্যা – গ্যাস, অম্বল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
 - 
খাবারের প্রভাব – রসুন, পেঁয়াজ, ধূমপান বা অ্যালকোহল মুখের গন্ধ বাড়ায়।
 - 
দাঁতের রোগ – দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির প্রদাহ বা পায়োরিয়ার কারণে দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।
 - 
অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতা – ডায়াবেটিস, কিডনি বা লিভারের সমস্যাও শ্বাসে দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে।
 
Read more: অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা | Mobile Addiction Health Effects
দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
👉 মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে যা করতে পারেন:
- 
নিয়মিত ব্রাশ ও ফ্লস করুন – দিনে অন্তত দু’বার দাঁত মেজে ফ্লস ব্যবহার করুন। এতে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার বের হয়ে যাবে।
 - 
জিহ্বা পরিষ্কার রাখুন – প্রতিদিন টাং স্ক্র্যাপার বা ব্রাশ দিয়ে জিভ পরিষ্কার করুন।
 - 
পর্যাপ্ত পানি পান করুন – সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে মুখ আর্দ্র থাকে এবং জীবাণু কমে যায়।
 - 
মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন – জীবাণুনাশক মাউথওয়াশ মুখকে সতেজ রাখে, তবে ব্রাশের বিকল্প নয়।
 - 
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন – রসুন, পেঁয়াজ, ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে ফল, শাকসবজি ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান।
 - 
চিনি ছাড়া চুইংগাম চিবোন – এটি লালা বাড়ায় এবং অস্থায়ীভাবে দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে।
 - 
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন – নিয়মিত মুখে দুর্গন্ধ থাকলে দন্তচিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের কাছে যান।
 
Read more: মানসিক চাপ কমানোর উপায়: স্বাস্থ্যকর মনের জন্য সহজ ও কার্যকরী পদ্ধতি
✅ শেষকথা
মুখের দুর্গন্ধ সাধারণত অনিয়মিত পরিচ্ছন্নতা ও জীবনযাত্রার কারণে হয়ে থাকে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে এটি অন্য কোনো রোগের ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই দাঁতের যত্ন নেওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস করলে সহজেই এ সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।